আজকে আপনারা শিশুদের বিভিন্ন রোগ যেমন শিশুর কলেরা, জেদী শিশু, শিশুর পেটের পীড়া, শিশুর স্বরনশক্তি ও ফুসফুস দূর্বল ,শিশুর অল্প বয়সে চুরি, নবজাতক শিশুর রাতে কান্না, শিশু ভয়ানক স্বার্থপর, হিংসুক, বাচাল, সন্দেহবাদী, লােভী, ঝগড়াটে, অহংকারী ও নির্মম, শিশুর চোখের রোগ, শিশুর চর্মরোগ, শিশু দূর্বল, শিশুর জন্মগত থাইরয়েড / গলগন্ড / ঘ্যাগ, শিশুর কান্না, শিশুর বুদ্ধির বিকাশ কম, শিশু খাই খাই করে, শিশু অতিকায় স্থূল, শিশু কামড়ালে ইত্যাদি রোগ ও রোগের হোমিওপ্যাথিক সুচিকিৎসা সর্ম্পকে জানব।
শিশুদের হোমিও চিকিৎসাঃ
শিশুদের কলেরায়
ঔষদের নামঃ Cal phos -12x
জেদী শিশুর চিকিৎসায়

ঔষদের নামঃ এসিড নাইট্রিক (Nitric Acid)
নাইট্রিক এসিডে বিষাক্ত শিশু সাংঘাতিক জেদী ও প্রতিশােধাকাঙ্কী। সে যা করতে বা পেতে চাইবে তা সে করে বা পেয়ে ছাড়বে। নইলে ছাড়াছাড়ি নেই। কান্দাকাটি বা জোরপূর্বক যে ভাবেই হােক তা সে করবেই বা নিবেই।
তাকে কেউ মারলে সেও তাকে মারবে। ঘটনার দিন না পারলে যেদিন সুযোগ পায় সেই দিনই মারে। তার মনে ক্ষমা বলতে কিছু নেই। কেউ তার নিকট অপরাধ করে ক্ষমা পায় না-পায় প্রতিশােধ। নিজের শক্তিতে না কুলালে নালিশ করে।
কোন কোন শিশু মা বা অন্য কারো উপর রাগ করে ২/১ দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকে। ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না। এত জেদ!
শিশুর অতিরিক্ত খাই খাই থেকে উদারময় / পাতলা পায়খনা / পেটের পীড়া

ঔষদের নামঃ আয়ােডাম (Iodium)
আইওডিন বিষযুক্ত শিশু গরম সহ্য করতে পারে না। কেবলই ঠান্ডা চায়। ঠান্ডা পানীয়ও তার পরম আরাধ্য। তার ক্ষুধা এত বেশী যে সারাদিনই খাই খাই করে ও খায়, কিন্তু হজম করতে পারে, না। ফলে উদরাময়ে আক্রান্ত হয়, তবুও খায়।
খাওয়ার যেন শেষ নেই। খাওয়ার অল্পক্ষণ পরে আবার খায়। খায় আর হাগে, হাগে আর খায়, আর শুকাতে (শীর্ণ) থাকে। শুকাতে শুকাতে কঙ্কাল হয়ে পড়ে, পেটের সমস্ত রগ নীল হয়ে ভেসে উঠে) তার শীর্ণতা সার্বেদৈহিক (ক্যালফস (Calc. Phos), মেডােরিনাম (Medorrhinum), আর্জেন্ট নাই (Argentum Nitricum), টিউবার (Tuberculinum) প্রভৃতি)।
শিশুর চোখের রোগ
ঔষদের নামঃ কেলি-আয়ােড (Kali Iodide)
শিশু কালেই কঠিন চক্ষু পীড়ায় আক্রান্ত হয়। জন্ম থেকেই যেন এদের চোখ যন্ত্রটি দূর্বল থাকে এবং নানা কঠিন চক্ষুরােগের আবাসভূমি হয়ে উঠে। শিশু দারুণ রাগী ও অশালীন ভাষা এবং ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। যখন তখন যার তার সাথে ঝগড়া বাঁধায়। অশ্রাব্য কথা ব্যবহার করে।
তার ব্যবহারে সবাই তার উপর অসন্তুষ্ট হয়। এমনকি বাড়ীর লােক পরম আত্মীয় স্বজনও। সে কারো সাথে সদ্ভাব রাখতে পারে না।
শিশু জন্মগতভাবেই স্মরণশক্তি ও ফুসফুস দুর্বল
ঔষদের নামঃ মেডোরিনাম (Medorrhinum)
এ রোগের শিশুর স্মরণ বৃত্তি ও ফুসফুস জন্মগতভাবেই দুর্বল থাকে এবং জন্মথেকেই সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে। এক সর্দি না সারতেই আরেক সর্দি দ্বারা আক্রান্ত হয়। নিয়ােমােনিয়া, ব্রংকনিয়ােমােনিয়ায় ভুগে। এইভাবে চলতে চলতে শ্বাসকষ্টে আসে। কোথায় কেমনে সর্দি লাগে পিতামাতাও তা টের করতে পারে না।
শিশুর দেহ খর্বাকৃতি ও স্মরণশক্তি মােটেই ভাল থাকে না। বই পড়ে। মনে রাখতে পারে না। অংকে একেবারেই কাঁচা থাকে। কে যেন তাকে ধরতে আসতেছে মনে করে সব সময়ই ভীত থাকে। রাত্রে গরম অনুভব করে। মাঝে মাঝে শিশু কলেরা বা প্রবল উদরাময় দ্বারা আক্রান্ত হয়। শরীর ক্রমেই শকাতে থাকে।
সামান্য ঠান্ডাও সহ্য করতে পারে না-সর্দি হয়। উপুর হয়ে শয়ন করে। কোন কোন সময় চিৎ হয়ে মাথার উপর হস্তদ্বয় রেখেও শয়ন করে। তবে উপুর হয়েই বেশী শয়নকরে আর ম্মৃতিশক্তি খুবই কম-কিন্তু দুষ্ট বুদ্ধি খুবই বেশী।
সে উজ্জ্বল আলো পছন্দ করে। মিটমিটে আলাে পছন্দ করে না। উজ্জ্বল আলোতে সব কিছু পরিষ্কারভাবে দেখা যাওয়া চাই। ক্ষুধা খুব বেশী এবং খায়ও যথেষ্ট, কিন্তু পুষ্টি আসে না। রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করে। প্রস্রাব খুব দুর্গন্ধযুক্ত। রক্তশুন্য, শুষ্ক, শীর্ণ দুর্ব্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন, খর্বাকৃতি ও স্থূলবুদ্ধি বিশিষ্ট শিশু।
সে বাতাস চায় কিন্তু তার ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। (ম্যাগ-মিউর (Magnesia Muriatica), ন্যাট-মিউর (Natrum Mur))। তাকে কয়েকটি সওদা কিনতে দিলে তার ২/১ টা বাদ দিয়েই ক্রয় করে অথবা ক্রয় করে দোকানেই ফেলে আসে। মিষ্টি বেশী খায়। পিপাসা বেশী।
এই বিষযুুক্ত শিশুকে শিশুকালে এর উচ্চ হতে উচ্চ শক্তিতে চিকিৎসা করে বিষটি নষ্ট না করলে পরবর্তী জীবনে জরায়ু বা স্তনের ক্যান্সার বা টিউমারে আক্রান্ত হয় বা বাতে পঙ্গু বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় বা হাঁপানী বা ব্লাডপ্রেসারের শিকার হয়। কষ্টকর অতি ঝতু বা ঋতুর অভাব দেখা দেয় ও ক্রমে বন্ধ্যা হয়ে যায় (কারো কিডনী দ্বয় ধ্বংস বা তাতে পাথর জন্মে) অথবা দুর্গন্ধ ও চুলকানিযুক্ত প্রচুর প্রদর স্রাব বা জরায়ু প্রদাহ বা তার স্থানচ্যুতি বা গ্রীবার ক্ষত দেখা দেয়।
শিশুর অল্প বয়সে চুরি
ঔষদের নামঃ ন্যাট্রাম সাল্ফ (Natrum Sulph)
এই বিষযুক্ত শিশু অতি অল্প বয়স হতেই চুরি করতে থাকে। সে এমনই স্বার্থান্ধ যে, কোন জিনিসে তার অধিকার আছে আর কোন জিনিসে নেই, তার বিচার শক্তি থাকে না। জিনিস হলেই নিজের করে পেতে চায় এবং চুরি করে। ছল, প্রবঞ্চনা, ঠকামি, মিথ্যা বলা, তার দৃষ্টিনন্দিন ক্রিয়া কলাপ । শিশু বিষন্ন, উদ্যমহীন, উদাসীন ও নির্জন প্রিয়।
ঔষদের নামঃ থুজা (Thuja oc)
বিষযুক্ত শিশু বাল্যকাল হতেই চুরি বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠে। নিজের কাজ হাসিলের জন্য ঠকাবাজি, প্রবঞ্চনা, মিথ্যাবলা, ধােকা দেয়া, ভন্ডামি, গিবত গাওয়া ও চোগলখুরিতে ওস্তাদ (আর্সেনিক এল্ব (Arsenicum Album), ন্যাট্রাম সালফ (Natrum Sulph)) হয়। গােপনে যে সমস্ত অপরাধ মানুষ করে প্রায় সবই তার ভেতর থাকে। বড় হয়েও সে অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না। (এন্টিসােরিক চিকিৎসা ছাড়া)। ফলে তাদের দ্বারা সমাজে এক ভীষণ বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়।
অবিশ্বাস, সন্দেহ, প্রভৃতিতে জড়িয়ে পড়ে হিংসাহিংসী, গালাগালি, চুরি, নষ্টামী, কুপ্রেরণা হতে আরম্ভ করে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক পর্যন্ত হয়ে কারাে কারাে জীবন চির অন্ধকারময় হয়ে যায়। অথচ শিশুকালেই বিষটি নষ্ট করতে পারলে সেই ব্যক্তি হতে বর্তমানে ও পরবর্তী সামাজিক কলুষতা তথা বিশৃঙ্খলা হতে সমাজ অনেক রেহাই পায়।
চুরি করার অভ্যাসে - কষ্টিকাম (Causticum), লাইকোপেডিয়াম (Lycopodium), নেট্রাম মিউর (Natrum Mur), সালফার (Sulphur) - যেকোনো একটি উচ্চশক্তি ব্যবহার্য।
শিশুর শীতকালে চর্মরোগ
ঔষদের নামঃ পেট্রোলিয়াম (Petroleum)
এই বিষযুক্ত শিশুর শীতকালে নানা প্রকার চর্মপীড়া দেখা দেয়। সেই সাথে হাত পা এমনকি সমস্ত শরীরের চামড়া ফেটে যায়। তার চর্মপীড়া মলম বা ইনজেকশনে চাপা দিলে পরবর্তীতে আসে গ্যা্টিক পেইন বা অন্ত্রের গ্রহণী। গরমকালে চৰ্ম্মপীড়া আপনা আপনি ভাল হয়ে যায়। আবার শীতকালে প্রকাশ পায়।
পেট্রোলিয়াম বিষ চোখের ডবল দৃষ্টি তৈরি করে। কোন শিশু বা ব্যক্তি যে কোন রােগের সময় বা বিনা রােগে যদি জিনিস পত্র ডবল করে অর্থাৎ একটিকে দুটি বা দুটিকে চারটি দেখে তা হলে পেট্রোলিয়াম তাকে আরােগ্য করবে। শিশু শীতকাতর ও শীর্ণ এবং উদরাময় প্রধান।

শিশু কামড়ালে

ঔষদের নামঃ ফাইটোলাক্কা (Phytolacca)
এই বিষযুক্ত শিশু দন্তোদগমকালে বা অন্য যে কোন সময়ে দাঁতে দাঁত চেপে কামড়ানাের মত ভঙ্গি করলে বা প্রকৃতই মায়ের স্তন কামড়িয়ে ধরলে বা অন্য কাউকে ক্লামড়ালে ফাইটোলাক্কা তা আরােগ্য করে। অনেক মা অভিযোগ করেন যে, শিশুর ঐ রকম কামড়ানাের প্রবৃত্তি বা কামড়ানোর পরপরই কোন না কোন রোগে আক্রান্ত হয়।
শিশু ভয়ানক স্বার্থপর, হিংসুক, বাচাল, সন্দেহবাদী, লােভী, ঝগড়াটে, অহংকারী ও নির্মম
ঔষদের নামঃ ল্যাকেসিস (Lachesis)
সুরুকুকু সাপের বিষযুক্ত শিশু ভয়ানক স্বার্থপর, হিংসুক, বাচাল, সন্দেহবাদী, লােভী, ঝগড়াটে, অহংকারী ও নির্মম। যে কোন দ্রব্য নিজ ভাই বােনকেও দিতে চায় না। সব একাই ভােগ করতে চায় ও করে।
সব জিনিস বেশী বেশী নিয়ে বা ভােগ করেও তৃপ্ত হয় না। আরাে চায়। এত লােভী যে তাকে সামান্য কিছু লােভ দেখালেই অন্যের ভীষণ ক্ষতি করে দেয়। সে এমনই হিংসুক যে নিজের ক্ষতি করে হলেও অন্যের স্বার্থে আঘাত হানে। অসম্ভব কথা বলে। কথার শেষ নেই। এ বিষয় হতে ও বিষয়, অনর্গল বকে যায়। সে অন্যের কথা শুনে না, নিজের কথাই অন্যকে শুনায়।
কাউকে ফিস ফিস করে কিছু বলতে দেখলেই সন্দেহ করে যে তার সম্বন্ধেই কিছু বলা হচ্ছে-আর এমনি ঝগড়া লাগায়। সে মনে করে তার চেয়ে বড় ও উপযুক্ত আর কেউ নেই-সুতরাং ভাল এবং সুন্দর যা, তা তারই প্রাপ্য-অন্যে নেবে বা ভােগ করবে কেন? না পেলে ঝগড়া বাধায় বা হিংসাহিংসী।
প্রয়োজনে খুন বা চুরি করে-তবু তাকে তা পেতে হবে। এই বিষযুক্ত একাধিক শিশু যদি কোন পরিবারে থাকে তাহলে তথায় রাতদিন ঝগড়া লেগেই থাকে। অন্যায় অবিচার, করাল গ্রাসের মত চলে। অশান্তির এক দোজখখানা।
মার-ধর, কান্নাকাটি, হানা-হানি করে আবার নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ সৎও ভবে। এই তার চরিত্র। রােগ তার যা হয় শরীরের বাম পার্শ্বে হয়। রাতে ঘুমের উপক্রমে, মধ্যে বা শেষে তা বৃদ্ধি পায়।
কেহ বা সামান্য টাকার লােভে গুরুতর খুন বা দ্রব্য হাইজাক করে অন্যের সর্বনাশ করে। পরিনামে ক্যান্সার বা ব্লাড প্রেসার বা গ্যাংরিনে মারা যায় । কেউ গ্যাষ্টিক আলসারেও ধুকে ধুকে মরে। অথচ শিশুকালে উচ্চশক্তিতে স্বভাবটি পরিবর্তন করে দিলে ভাল মানুষ হিসাবে বসবাস করে। অন্যের ও সমাজের তথা নিজের ক্ষতি করে না। নিজেও শান্তিতে মরতে পারে।
শিশু স্বতফূর্তহীন, অবসন্ন ও দুর্বল

ঔষদের নামঃ সাইলিশিয়া (Silicea)
খাদ্য বস্তুর সারাংশ গ্রহণে অক্ষমতা এনে দেহকে ক্রমিক জীর্ণ শীর্ণ ও শিশুকে স্ফুর্তিহীন, অবসন্ন ও দুর্বল করাই এই বিষেল কাজ।
এই বিষের প্রভাবে মাথা জন্মকাল হতেই বড় থাকে কপালে ও সম্মুখ মাথায়, বগল ও হাত পায়ের পাতা অধিক ঘামে। দুর্গন্ধ হয়। পেট উঁচু থাকে। পুর্ণিমা ও অমাবশ্যায় সমস্ত রোগ বৃদ্ধি পায় বা উদয় হয়। দন্তোদগমকালে মেরুদন্ড বেঁকে যায়। দাঁত বিকৃত হয়ে গজায়।
শিশুর জন্মগত থাইরয়েড / গলগন্ড / ঘ্যাগ
ঔষদের নামঃ স্পঞ্জিয়া (Spongia)
এই বিষমুক্ত শিশু জন্ম হতেই থায়রয়েড গ্ল্যান্ডের স্ফীতি বা গলগন্ড বা ঘ্যাগ নিয়েই জনুগ্রহণ করে। এটি তার অদ্ভুত অসাধারণ লক্ষণ। গলগন্ড একটি টিউবারকুলার ব্যাধি। এটি অপারেশন করলেই ক্ষয় রােগটি এসে হাজির হয়। অতএব অপারেশন না করে হােমিও চিকিৎসায় আরােগ্য করা উচিত।
নতুবা পরবর্তী জীবনে ক্ষয়রােগ বিশেষতঃ হাঁপানী বা হৃদপিন্ডের বিশৃঙ্খলা এসে সারা জীবন কষ্ট দেয় বা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এই বিষের প্রভাবে শিশুকালেই ক্ষয়জাত আক্ষেপযুক্ত কাশি বিশেষতঃ ঘুংড়ি কাশি মাঝে মধ্যেই হয় ও দারুণ কষ্ট দেয়।এমন কি নিদ্রার মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
কাশি শুষ্ক। কিছুই পড়ে না। কাশতে কাশতে শিশু বেঁকে যায়, তবু কাশি থামে না। বক্ষে করাত দিয়ে কাঠ চিরাই করার মত শব্দ থাকে।
আয়োডিয়াম (Iodium) CM ২ ডোজ , ১ মাস পর পর
নোংড়া শিশু

ঔষদের নামঃ সালফার (Sulphur)
সালফার বিষযুক্ত শিশু ভীষণ নােংরা। ময়লা-কাপড় পরিধান করে। ময়লা বিছানায় বা পানা ধুয়েই শয়ন করে। তাতে তার কোন ঘৃণা বোধ হয় না।
চুলকানীর উদ্ভেদ হতে বা অন্য কোন কারণে রক্ত ময়লা বের হলে হয়তাে তা খেয়েই ফেলে। এমন নােংরা। ছেড়া নেকড়া বা শামুকের খােলশ (এই জাতীয় নানা দ্রব্য হতে পারে) বা অন্য কোন একদম বাজে জিনিসকে মহামূল্যবান মনে করে জমা করে বা তদ্বারা খেলা করে এবং অন্য কেউ নিলে বা ফেলে দিলে ভীষণ কান্নাকাটি বাধিয়ে বসে।
স্নান মােটেই করতে চায় না। গােছলের কথা এত না পছন্দ করে। কারণ গােছল তার কষ্ট হয়। তাকে গােছল করান এক বিরাট ঝঞ্জাট।
চর্মপীড়া থাকলে তা স্থানে বৃদ্ধি হয়। তাছাড়াও চর্মপীড়া শরীরে না থাকলেও সে স্নান পছন্দ করে না, কারণ পানির স্পর্শ শরীরে খারাপ লাগে তাই সে এমন করে। অথচ এমনিতে সে গরমকাতর গরম সহ্য করতে পারে না অথচ স্নান পছন্দ করে না। পিপাসাহীন-কথাটাও মনে রাখার মত
শিশু নিজের মলমূত্র ও ময়লা খেতে চায় লক্ষণে সালফার় (Sulphur) ২००, অথবা ১০০০।
শিশুদের খাবার-দাবারের প্রতি অনীহা / অরুচি

শিশুদের খাবার-দাবার প্রতি অনীহা, কিছুই খেতে চায় না- লক্ষণে ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carb) ৩০, একদিন পর পর ১ ডােজ করে মোট ৩/৪ ডােজ বা সাইলেসিয়া (Silicea) ২००, ১ মাত্রা।
শিশু সারাক্ষণ আংগুল চোষে

শিশু সারাক্ষণ আংগুল চোষে লক্ষণে ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carb) বা ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea phos) বা সাইলেসিয়া (Silicea) ১০০০ থেকে উচ্চ শক্তি।
শিশু সর্বদাই খাই খাই করে
শিশু সর্বদাই খাই খাই করে, অস্বাভাবিক ক্ষুধা। এইরূপ লক্ষণে ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea phos) ২০০, প্রতি ৩ দিন অন্তর ১ ডােজ করে মোট ৫/৬ ডােজই যথেষ্ট।
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি কম
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তির স্বল্পতা বা মানসিক খর্বতায় ব্যারাইটা কার্ব (Baryta Carb) উচ্চ শক্তি ২/১ মাত্রা ব্যবহারের ৭-১০ দিন বাদে পর পর মেডোরিনাম (Medorrhinum) ও সিফিলিনাম (Syphilinum) উচ্চ শক্তি ব্যবহারে আশাতীত ফল পাওয়া যাবে।
শিশু অস্বাভাৰিক মোটা

শিশু অস্বাভাৰিক মোটা হওয়ার প্রবণতায় ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carb) ২০০ হতে উচ্চ শক্তি।
শিশুর কোষ্ঠ কাঠিন্যে
শিশুর কোষ্ঠ কাঠিন্যে এলুমিনা (ALUMINA ) বা ব্রায়াে নিয়া (Bryonia ) ৩০, কয়েক মাত্রা।
শিশুর কান্না

শিশু, এমন কি সদ্যজাত শিশুর অসহ্য পেট ব্যাথা বা শূল ব্যাথা। শিশু পাগলের ন্যায় কাঁদতে থাকে; ছটফট করে এবং পাদুটি গুটিয়ে রাখে। Magnatia phos (ম্যাগ ফস) তাকে তৎক্ষনাৎ ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারে।
তাই Magnatia phos কে শিশুর ঘুমপাড়ানী গান বলা হয়।
শিশুদের কাঁদুনে স্বভাব, সারাক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করে, মায়ের কোল বা আঁচল ছাড়তে চায় না এইরূপ লক্ষণে ক্যা মাে মিলা (Chamomilla ) ৬/৩০, দিনে ৩ বার, মোট ২ দিন।
অতি প্রয়ােজনীয় ঔষধ। ইহার গুণে মুগ্ধ হতে হয়। শিশু রক্তহীন, মলিন, রুগ্ন, দিন রাত্রির মধ্যে একবারও ঘুমায় না, কেবল কাদে, খ্যাত খ্যাত করে কিংবা দিনের বেলায় বেশ হাসে, খেলা করে; কিন্তু রাত্রিতে বড় বিরক্ত করিয়া তুলে, ছটফট করে, চীৎকার করিয়া কাদে শিশু দিনরাত উভয় অবস্থায় কাঁদলেও রাত্রেই বেশী কাঁদে। সাথে উদরাময়, পেট বেদনা, জুর, যাই থাকুক তাও ভাল হয়ে যায়। জেলাপার (Jalapa ) অনুপূর - সুরিনাম - 200 (Psorinum)
শিশুর দিনে কান্না
শিশু সমস্ত দিনই কাদে, কিছুতেই ধৈর্য ধারন করতে পারেনা, কেউ আর্শিবাদ বা ধন্যবাদ দিলেও কাদে - Lycopodium
শিশুর রাতে কান্না
ঔষদের নামঃ সিফিলিনাম (Syphilinum)
সিফিলিস বিষযুক্ত নবজাত শিশুরা রাত্রে কেবলই কান্নাকাটি করে। রোগ যা হয় তা সবই রাত্রে বৃদ্ধি পায়। মুখ হতে লালা ঝরে (শিশু বাল ক, যুবক, বৃদ্ধ, সবারই), অত্যাধিক ঘামে, বিছানায় প্রস্রাব করে, জিহ্বা মােটা ও পুরু ক্লেদযুক্ত।
অত্যধিক বদমেজাজী ও রাগী, দুর্গন্ধ ক্ষত ও স্রাব প্রায় লেগেই থাকে, স্রাব ঝাঁঝাল। দুধ পানে আগ্রহ থাকে কিন্তু হজম হয় না ( ম্যা গ-কার্ব (Mag Carb), ম্যা গ-মিউর (Mag Mur) )।
কোনও কারন ব্যতিত শিশুর রাত্রিকালীন কান্নায় সিফিলিনাম (Syphilinum) ২০০ অথবা ১এম শক্তি। ~ডাঃ চ্যাটা র্জি
শি শু দিনে ভাল থাকে কিন্তু রাত্রি হইলেই কান্নাকাটি করে লক্ষণে যে কোন দিন রাতে জ্যালাপা (Jalapa ) ৩ ০, ১ ডােজ মাত্র।
শিশুর হাঁপানী
হাঁপানীরােগগ্রস্থ শিশুদের ক্ষেত্রে মর্গ্যান ২০০ হতে সি. এম. শক্তি পর্য্যন্ত ব্যবহার করি। যেখানে নে ট্রাম-সালফ (Natrum Sulph ), আর্সে নি ক (Arsenic Album) এবং অন্যান্য বিভিন্ন হাঁপানীর ওষুধ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় আমি সেখানে মর্গ্যা ন (Morgan ) ২০০ এবং ১০০০ শক্তি দ্বারা আরােগ্য করেছি। ~ডাঃ ডবলিউ, বি. গ্রীগস্
নবজাতক শিশুর রোগ
১। নবজাতক শিশুয় প্রস্রাব পায়খানা বন্ধ থাকলে একো নাইট (Aconitum Nap) ২০০, এক মাত্রাই যথেষ্ট। তবে ১ মাত্রা ৩ ডােজে ভাগ করে ২/৩ ঘণ্টা পর পর খাওয়ানো ভাল।
২। নবজাতক শিশু না কাদলে একোনাই ট (Aconitum Nap) ২০০ , উপরোক্ত নিয়মে খাওয়া তে হবে।
৩। নবজাতক শিশুর সর্দি হলে ডা লকা মা রা (Dulcamara ) ৩০, উপরােক্ত নিয়মে খাওয়াতে হবে।
৪। নবজাতক শিশুর বুকে ঘড় ঘড় শব্দ হলে এন্টি ম টা র্ট (Antimonium Tartaricum ) ৩০, উপরেক্ত নিয়মে বা কে লি সালফ (Kali Sulph) ৩x, ২ বড়ি করে দিনে ৩ বার।
৫। নবজাতক শিশু মায়ের বুকের দুধ না খেলে চায়না (China) ৩x বা ক্যালকেরিয়া ফস (Calc. Phos) ৩x, দিনে তিন বার।
৬। নবজাত শিশুর দুধ সহ্য হয় না, খেলেই বমি করে-এরূপ তবস্থায় ইথুজা (Aethusa Cynapium) ৩০, উপরেক্ত ১ নন্বরে প্রদত্ত নিয়মে সেব্য।
রেফারেন্সঃ
- হোমিও রত্মমালা - ধনমোহাম্মদ সরকার
- হোমিওপ্যাথিতে শিশু চিকিৎসা - ডাঃ মোঃ আবদুল গণি
- হোমিও দর্শনে রোগ নিরাময়
ডাঃ মোঃ আঃ হান্নান মিয়া (বি,এ)
ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
অহনা ভিলা, ধানুয়া কলেজ পাড়া, শিবপুর, নরসিংদী
রোগী দেখার সময়ঃ শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাগদী প্রাইমারী স্কুলের পূর্ব পার্শ্বে, আব্দুল বাতেনের বাড়ি, কালিগঞ্জ, গাজীপুর
রোগী দেখার সময় বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মোবাইলঃ ০১৭৩৯-৬৮২৬৯২, অথবা বার্তা পাঠান
(প্রতি শনিবার যোগাযোগ সাপেক্ষে রোগী দেখা হয়)