আমরা প্রতিদিন নানাবিধ খাবার খেয়ে থাকি তার মধ্যে অনেক খাবার আছে যাতে রয়েছে ঔষধি গুনাগুন । খাবারে যদি এ গুনগুলাে আমাদের জানা থাকে তবে খুব সহজেই খাবার গুলো আমরা রোগমুক্তি বা রােগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহার করতে পারে।
করলা সবজিটির প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে যা দৈনন্দিন চাহিদার অনেকটাই মেটাতে সক্ষম ।
ডায়াবেটিস
করলায় ইনসুলিন রাইক ফ্যাক্টর অর্থাৎ প্ল্যান্ট ইনসুলিন থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিশেষ করে টাইপ -2 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা বেশ উপকারী।
পাইলস
করলা পাতার রস সকালে খালি পেটে খেলে পাইলস রোগে ভালাে ফল দেয়।
সােরিয়াসিস
এক কাপ করলার রসের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস খালি পেঠে একটানা ছয় মাস খেলে চুলকানি কমে যায়।
হাপানি রােগ
করলা গাছের মূল এ ধরনের রােগে আক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। করলা গাছের মূলের পেষ্ট এক চা চামচ সমপরিমাণ মধু ও তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মিশিয়ে টানা এক মাস খেলে অ্যাজমা ব্রহ্কাইটিস ভালাে হয়।
কলেরা
করলা পাতার রস কলেরা আক্রান্ত ব্যাক্তি খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে কতটুকু খাবেন তা ডাক্তার ও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিদিন করলা সেদ্ধ পানি সেবন করতে পারেন। করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যাতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে।
কিডনিতে পাথর
কিডনিতে পাথর একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক চিকিৎসা। করলা কিডনিতে পাথরগুলির দেহ প্রাকৃতিকভাবে ভেঙে ফেলাতে সাহায্য করতে পারে। করলা উচ্চ অ্যাসিড হ্রাস করে।
একটি স্বাস্থ্যকর চা তৈরি করতে পানির সাথে তিক্ত করলার গুড়া মিশিয়ে দিন। এই চা একটি বাদামি স্বাদযুক্ত এবং আশ্চর্যজনকভাবে কোন মিষ্টির প্রয়োজন হয় না।
কোলেস্টেরল কমায়
করলা দিয়ে বিপজ্জনক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। কোলেস্টেরল হ্রাস হৃদরোগের আক্রমণ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোককে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
অতিরিক্ত সুবিধাটি হ'ল এইসব স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলি প্রতিরোধ করতে করলা শরীরের সাথে প্রাকৃতিক ভাবে কাজ করে ।
ত্বকের সুরক্ষায়
করলা থেকে তৈরি খাবার বা রস ত্বকের উপকার করে। যদি নিয়মিত খাওয়া হয়, করলা ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া করলাকে ব্রণ, সোরিয়াসিস, এবং একজিমা চিকিৎসার সহায়ক বলা হয়।।
ত্বাকের সমস্যার জন্য বা আরও সুন্দর ত্বকের জন্য করলার স্যুপ খাওয়া চেষ্টা করুন। একটি অতিরিক্ত সুবিধা হ'ল করলা একটি রক্ত-বিশুদ্ধকারী এজেন্ট।
ওজন
করলা ওজন কমালে বা ওজন ধরে রাখতে সাহায্যে করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে সহায়তা করে এমন একই বৈশিষ্ট্যগুলি স্বাস্থ্যের ওজন হ্রাস এবং রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।
করলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে টক্সিনগুলি বের করে দেয় যা ওজন বাড়িয়ে তোলে। করলার রস নিয়মিত সেবন করা ওজন হ্রাসে কার্যকরভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ব্রণ
রক্ত শুদ্ধ করার এবং বিষমুক্ত করার জন্য করলা খুব ভাল এবং এটি ব্রণ হ্রাস এবং অভ্যন্তরীণভাবে শরীর পরিষ্কার করবে।
ডাঃ মোঃ আঃ হান্নান মিয়া (বি,এ)
ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
অহনা ভিলা, ধানুয়া কলেজ পাড়া, শিবপুর, নরসিংদী
রোগী দেখার সময়ঃ শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাগদী প্রাইমারী স্কুলের পূর্ব পার্শ্বে, আব্দুল বাতেনের বাড়ি, কালিগঞ্জ, গাজীপুর
রোগী দেখার সময় বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মোবাইলঃ ০১৭৩৯-৬৮২৬৯২, অথবা বার্তা পাঠান
(প্রতি শনিবার যোগাযোগ সাপেক্ষে রোগী দেখা হয়)