আজকে আমরা হৃদরোগ কাকে বলে,হৃদরোগ কেন হয়, কারণ কি, প্রাথমিক লক্ষণ, খাদ্য তালিকা এবং এর থেকে মুক্তির উপায় ও প্রতিকার ইত্যাদি সর্ম্পকে জানব
হৃদরোগ কি?
হৃদরোগ এমন কিছু অবস্থাকে বোঝায় যেটা হার্ট ও রক্তবাহীকাগুলোকে প্রভাবিত করে অর্থ্যাৎ হার্টের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি। হার্ট যখন ঠিকমত কাজ করতে পারেনা তখন হার্ট ফেইলিওর হয়। হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। আজকের দিনে, হৃদরোগ মৃত্যুর সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি এবং এরিথমিয়া, করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং জন্মগতভাবে হার্টের সমস্যার মত পরিস্থিতিগুলির অন্তর্ভুক্ত।
হৃদরোগ যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর অন্যতম কারণ, চার জনের মধ্যে একজনই হৃগরোগে মারা যায়।
হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিওর হল সারা পৃথিবীর হার্টের অসুখগুলির মধ্যে দুটি সবচেয়ে সাধারণ ধরন।
হৃদরোগের প্রধান কারণগুলি
হৃদরোগের কারণগুলি রোগের ধরন অনুসারে ভিন্ন হয় এবং এগুলির মধ্যে রয়েছে:
- এথেরোস্ক্লেরোটিক হৃদরোগ: অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, অলস জীবন যাপন, ওজন বেড়ে যাওয়া এবং ধূমপান।
- হৃদযন্ত্রে সংক্রমণ: রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে হার্টে পৌঁছে যাওয়া জীবাণু, ভাইরাস বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট। রূম্যাটিক হৃদরোগ, সিফিলিস, ভালভুলার হৃদরোগ এবং হার্টে অস্ত্রপচার বা ওরাল ক্যাভিটি হার্টকে সংক্রমণের জন্য বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।
- হৃদযন্ত্রে ত্রুটি: গর্ভবতী মায়ের বিশেষ কিছু চিকিৎসা বা শারীরিক অবস্থা অথবা জিনগত বিষয়গুলি ভ্রূণের হৃদযন্ত্রের বিকাশকে আক্রান্ত করে।
- এরিথমিয়াস: সহজাত (জন্ম থেকেই উপস্থিত) হৃদযন্ত্রের ত্রুটি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ড্রাগ নেওয়া, ধূমপান ও চাপ।
হৃদরোগের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি
- এথেরোস্ক্লেরোটিকের (রক্তবাহীকা সরু হয়ে যাওয়া) সঙ্গে যুক্ত উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- বুকে টান ধরা, যন্ত্রণা (পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণ) এবং অস্বস্তি হওয়া (মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণ)।
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।
- বুকের ব্যথা যা চোয়াল, ঘাড়, পিঠ এবং তলপেটের নিচে ছড়িয়ে যায়।
- হাত ও পায়ের অসাড় হয়ে যাওয়া,ব্যথা ও দুর্বলতা।
হৃদরোগ একটি নীরব ঘাতক। সঠিক জীবন যাপন ও স্বাস্থ্যকর খাবার হৃদরোগ প্রতিরোধের অন্যতম প্রতিষেধক।
এরিথমিয়ার সঙ্গে যুক্ত উপসর্গগুলি হলঃ
- বুকে ঝাপটানি অনুভব করা।
- বুক ধড়ফড় করা এবং মাথা ঘোড়া।
- ট্যাকিকার্ডিয়া (দ্রুত হৃদ কম্পন )।
- ব্র্যাডিকার্ডিয়া (আস্তে হৃদ কম্পন)।
- শ্বাসকষ্ট।
হার্টে ত্রুটি বা হার্ট ফেইলিওরের সাথে যুক্ত উপসর্গগুলি হলঃ
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ফেকাশে, এবং নীলাভ গায়ের রঙ।
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাওয়ানোর সময়ে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে হওয়ার জন্য খাবারে অনীহা দেখা দিতে পারে, তাই ওজন কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- হাত, পা, ও পাকস্থলী ফুলে যাওয়া।
- ব্যায়াম বা নির্দিষ্ট শারীরিক ক্রিয়াকর্মের পরে একজন সহজেই ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
হার্টের সংক্রমণের সাথে যুক্ত উপসর্গগুলি হলঃ
- রাতে ঘাম হওয়া বা ঠান্ডা লাগা।
- কাশি।
- বুক কলকল করা।
- বুকে, তলপেটে, হাতের আঙুলে এবং পায়ের আঙুলে ব্যথা হওয়া।
হার্টের ক্ষেত্রে প্রধান ছ’টি রিস্ক ফ্যাক্টর হলঃ
- ওবেসিটি,
- ডায়াবেটিস,
- হাইপার টেনশন বা হাই ব্লাডপ্রেশার,
- হাই ট্রাইগ্লিসারাইড,
- ধূমপানের অভ্যেস
- ক্রনিক হার্টের অসুখ বা বংশগত হার্টের অসুখের ইতিহাস।
পরামর্শঃ
- অতিরিক্ত মদ্যপান বর্জন করুন।
- ধূমপান থেকে নিজেকে একেবারে সরিয়ে রাখলে হার্টের অসুখের আশঙ্কা অনেকটা কমানো যায়।
- ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেশার এবং ট্রাইগ্লিসারাইড— এই তিন ভিলেনকে বশে রাখতে হলে লাইফস্টাইলে বদল দরকার।
- তার জন্য বিশেষ করে নজর দিতে হবে ডায়েটে।
- আপনার ডাক্তার আপনাকে কম ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে এবং ব্যায়াম করতে বা প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট হাঁটতে পরামর্শ দিতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ কম করার জন্য এবং কম-ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করার জন্য নির্দেশ মেনে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
- কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমান মূল্যায়নের জন্য রক্ত পরীক্ষা।
- স্ট্রেস বা চাপ পরীক্ষা।
- ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি)।
- ইকোকার্ডিওগ্রাম (টুডি ইকো)।
- টিল্ট টেস্ট।
- ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক টেস্ট।
- করোনারি এঞ্জিওগ্রাম।
- সিটি (কম্পিউটার টোমোগ্রাফি ) স্ক্যান।
জেনে রাখুনঃ
- এক জন সুস্থ সবল মানুষের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হওয়া উচিত প্রতি ডেসিলিটারে ১৬০ মিলিগ্রামেরও কম।
- চর্বি জাতীয় মাংস, পাম তেল, ডালডা, নারকেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, কাজু বাদাম, প্রসেসড মিট, প্যাকেটজাত খাবার, কেক-পেস্ট্রি বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
- কম তেল-মশলা হার্টের পক্ষে যেমন ভাল, তেমনই তা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কতটা ফ্যাট শুধু তা দেখলেই হবে না, কতটা ট্রান্স ফ্যাট তা-ও দেখতে হবে। ট্রান্স ফ্যাট থেকেও শরীরে জমে খারাপ কোলেস্টেরল।
- খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে ডায়েটে রাখতে হবে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইভার সমৃদ্ধ খাবার।
- শাক-সবজি, তরিতরকারি, ফল তো বটেই, তার সঙ্গে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারও।
- ফলের মধ্যে অবশ্যই দরকারি, আপেল, বেদানা, মুসম্বি লেবু, খেজুর।
- ডার্ক চকোলেট হার্ট ভাল রাখে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- হার্টে রক্ত চলাচলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও হৃদস্পন্দনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ।
- ভিটামিন কে সমৃদ্ধ পালং শাক ধমনীকে সুরক্ষিত রাখে ও রক্তের চাপ কম রাখতে সাহায্য করে।
- স্মুদি বা ফ্রুট স্যালাডের স্বাদ বাড়াতে বেরি জাতীয় ফলকে পাতে রাখতে পারেন।
- ১৫০ গ্রাম ব্লু বেরি হার্টের ভাস্কুলার ফাংশনকে ঠিক রাখে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্থোসিয়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হার্টের কার্যকারিতা বাড়িয়ে কার্ডিওভাস্কুলার রোগকে দূরে রাখে।
খাদ্য সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ / প্রশ্নোত্তরঃ
কী কী খাবার কম খেতে হবে
- অধিক তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার, অধিক কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যাতে ক্যালরি বেশি থাকে যা ওজন বাড়ায় তা বর্জন করতে হবে।
কী কী খাবার বেশি খেতে হবে
- যেসব খাবার কম ক্যালরিযুক্ত যেমন তাজা ও রঙিন শাকসবজি, ফলমূল, সালাদ, বিভিন্ন ধরনের মাছ বিশেষত সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল, প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার, উদ্ভিদজাত ননট্রপিক্যাল তেল বেশি বেশি খেতে হবে
- গরু, খাশি বা মহিষের গোশত একদম নিষেধ নয়, তবে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না, মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণ খাওয়া যাবে।
- যারা গরু, খাশি বা মহিষের একদম গোশত খান না, তাদেরও হার্টের করোনারি রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে বা হয়।
- অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করার পাশাপাশি অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিনি, মিষ্টি, কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।
- অনেক সময় দেখা যায় ১০-১২ বছরের বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন চেহারায় বা হাতে কোলেস্টেরল বা চর্বির বড় বড় চাকা জমা হয় ও রক্তে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য চর্বির মাত্রা অনেক বেশি, তাদের বুকে ব্যথার জন্য এনজিওগ্রামে দেখা যায় অনেক ব্লক, কিন্তু তারা তো জীবনে আর কতটুকুই বা তৈলাক্ত বা চর্বি জাতীয় খাবার খেয়েছে যে তাদের রক্তে চর্বির মাত্রা এত বেশি ও হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে অনেক ব্লক।
- অনেক সময় দেখা যায়, মূলত জেনেটিক বা বংশগত কারণে কিছু কিছু রোগে কোনো কোনো ছোট বাচ্চাদের শরীরে, চামড়ায়, চোখের কোণায় কোলেস্টেরলের আস্তর জমা পড়ে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকে, এমনকি এনজিওগ্রামে দেখা যায়, হৃদযন্ত্রের করোনারি রক্তনালিতে অনেক ব্লক। তাই মূলত জেনেটিক বা বংশগত কারণে এ সমস্যা দেখা যায়, খাবারের চর্বির সঙ্গে রক্তের চর্বির সম্পর্ক কম।
- যারা একদম পশুর মাংস বা পাখির মাংস খান না, এমনকি ভেজেটারিয়ান বা ভেগান তাদেরও দেখা যায় হৃদযন্ত্রের করোনারি রক্তনালিতে অনেক ব্লক এবং তাদের করোনারি ধমনিতে রিং বা স্টেন্ট বসানো বা বুক কেটে বাইপাস সার্জারি করা লাগে, এমনটা কেন হয়?
- এমনটা হতে পারে যদি কেউ অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খান বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খান ও কায়িক বা শারীরিক পরিশ্রম না করে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে না করে তবে এ অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি আকারে শরীরে জমা হবে, শরীরের ওজন বাড়বে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে, ফলে হৃদরোগ ও হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনিতে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- রক্তের চর্বির মাত্রা মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে খাবার চর্বি থেকে আসে, বাকি রক্তের চর্বির ৯০ শতাংশই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন যকৃতে বা লিভারে ও অন্যান্য কিছু অঙ্গে জেনেটিক বা বংশগত সমস্যার কারণে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি বেশি পরিমাণে চর্বি তৈরি হয় ও তা রক্তে সরবরাহ করে ও ফলে রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়ে ও হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনিতে ব্লক তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।
- রোগের ধরন ও ব্যাক্তির উপর নির্ভর করে, আপনার ডাক্তার অস্ত্রপচার করার পরামর্শ দিতে পারেন। হৃদপিন্ডের রক্ত প্রবাহকারী ধমনীগুলিতে কোনো বাধা দেখা দিলে হার্টে মেটাল স্টেন্ট (এঞ্জিওপ্লাস্টি) বসানোর প্রয়োজন হতে পারে অথবা পা বা বুকের অঞ্চল (গ্রাফ্ট) থেকে পরিষ্কার রক্তবাহী শিরা স্থাপনের দ্বারা রক্তবাহীকাগুলির জন্য নতুন পথ তৈরী করা হতে পারে (বাইপাস সার্জারি)।
কার্টেসিঃ Dr Naela Siddika | Nutritionist & Homeopathist
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে করণীয়ঃ
১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যাবে অনেকখানি। ব্যায়ামের মধ্যে দ্রুতপায়ে হাঁটা বা সাঁতার হতে পারে ভালো ব্যায়াম। ১৫ মিনিট করে সকাল, দুপুর ও রাতে হাঁটুন। এতে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শরীরচর্চাও হয়ে যাবে।
২. ধূমপান হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। শুধু যে নিজে ধূমপান করবেন না বা পরিহার করবেন তাই নয়, যেখানে ধূমপানে দূষিত হচ্ছে এমন জায়গাও এড়িয়ে চলুন।
৩. হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। পরিমিত পরিমাণে খাবার খাবেন এবং উদরপুর্তি করে খাওয়া এড়িয়ে চলুন, পেট ভরে যাওয়ার আগেই টেবিল ত্যাগ করবেন।
৪. হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে একেবারে রোগা পাতলা হয়ে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ওজন কমালেই রক্তের কোলস্টেরল, শর্করা ও প্রেশার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরতে শুরু করবে।
৫. হাই প্রেশার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ওষুধ নিজে থেকে বাদ দেবেন না। আপনার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেভাবে বলেছেন সেভাবেই খেয়ে যান, এতে হঠাৎ কোন দুর্ঘটনার আশংকা কম থাকবে।
কার্টেসিঃ Dr Amit, মাও শিশু রোগ চিকিৎসক ও মাইনর সার্জারি
ডাঃ মোঃ আঃ হান্নান মিয়া (বি,এ)
ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
অহনা ভিলা, ধানুয়া কলেজ পাড়া, শিবপুর, নরসিংদী
রোগী দেখার সময়ঃ শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাগদী প্রাইমারী স্কুলের পূর্ব পার্শ্বে, আব্দুল বাতেনের বাড়ি, কালিগঞ্জ, গাজীপুর
রোগী দেখার সময় বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মোবাইলঃ ০১৭৩৯-৬৮২৬৯২, অথবা বার্তা পাঠান
(প্রতি শনিবার যোগাযোগ সাপেক্ষে রোগী দেখা হয়)
Share this post
https://bismillahhomeocare.com/হৃদরোগ-কি-কারন-লক্ষন-পরীক্ষা-সমূহ-ও-পরামর্শ-10